একজিমার কারণ, লক্ষণ এবং দূর করার ঘরোয়া উপায়
৪. ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করেঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে হাইপারটেনশনের জন্য রসুনকে একটি উপযুক্ত ঔষধ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। যাদের ব্লাড প্রেশার অনেক বেশি তারা অন্যান্য ঔষুধের সাথেও রসুন খেতে পারেন। এর জন্য প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোয়া করে রসুন খালিপেটে খেতে হবে।
গর্ভবতী নারীদের রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এতে ‘লেইবার পেইন’ বা প্রসব বেদনা বেড়ে যেতে পারে। শিশুকে মাতৃ দুগ্ধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়েদেরও রসুন থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ তা দুধের স্বাদ পাল্টে দেয়।
এ ছাড়া অস্ত্রোপচারের আগে বা পরে রসুন এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের রসুনে অ্যালার্জি হয়ে থাকে, আর নিয়মিত এটি খেলে যদি কোনো অসুবিধা বোধ করেন, তখন রসুন না খাওয়াই ভালো, তবে স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এটি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। অনেক ধরনের রসুন বাজারে পাবেন, তার মধ্যে দেশি এককোষী রসুন সবচেয়ে ভালো। সূত্র:প্রথম আলো।
রসুনের নির্যাস অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দমন করে। রসুনের নির্যাসে ইথাইল অ্যাসিটেট সরাসরি ইমিউন প্রোটিন দমন করতে পারে যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াগুলির সময় প্রদাহজনিত কারণগুলির মুক্তির সাথে সম্পর্কিত। বয়স্ক রসুনের নির্যাস হিস্টামিনের মুক্তি বাধা দিয়ে অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়াগুলির সময় প্রদাহ প্রতিরোধ করে।
রসুন একটি ঝাঁঝালো মসলা উপাধান। আগুনের উত্তাপে রান্না করার সময় অনেক মসলায় সাথে ও তেল যুক্ত থাকার কারণে রসুনের এর পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। তাই রসুন খাওয়ার সঠিক উপায় হচ্ছে কাঁচা চিবিয়ে বা থেতলে খাওয়া। কাঁচা রসুনের রয়েছে আল্যাসিং। যখন কাঁচা রসুন বেটে বা থেতলে খাওয়া হয় তখন অ্যালাসিং লালারসের সাথে বিক্রিয়া বা মেটাবলাইস হয়ে ডায়ালাল ডাই সালফাই এবং ডায়ালাল টাই সালফাই হয়ে যায় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে ক্লিক করুন!
স্বাস্থ্য বার্তা সহবাসের আগে যেসব খাওয়া জরুরি।। সহবাসের আগে পুরুষের খাবার
কাটা সারিয়ে তুলতেঃ রসুনের অনেক ব্যবহার বিস্তার হয়ে গেছে, যার একটি হলো কাটা সারিয়ে তোলা। কাঠ বা বাঁশে ছোট টুকরো শরীরে কোথাও ঢুকে গেলে তা বের করে সেখানে রসুনের কোয়া কেটে লাগিয়ে দিতে হবে। একই সাথে শরীরের ওই অংশে ব্যান্ডেজ করে click here দিতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে উঠবে ওই কাটা স্থান।
৬। ব্লাড ক্লট তৈরিতে বাঁধা দেয়ঃ বিভিন্ন কারণে আমাদের রক্ত জমাট বাঁধে, এই জমাট বাঁধা রক্তের মাত্রা যখন বেশি হয়ে যায় তখন তা আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে রক্ত চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। যার ফলে আমাদের স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং ফুস্ফুসের বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। নিয়মিত রসুন বা রসুনের সাপ্লিমেন্ট খেলে আপনার ব্লাড ক্লট তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কয়েক গুণ কমে যায়।
শরীরকে ডি-টক্সিফাই করেঃ অন্যান্য ঔষধের তুলনায় শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন প্যারাসাইট, কৃমি পরিত্রাণ, জিদ, সাঙ্ঘাতিক জ্বর, ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং ক্যান্সার এর মত বড় বড় রোগ প্রতিরোধ করতে অনেক উপকারি।
নিয়মিত রসুন খেলে পরিপাকতন্ত্রের অনেক সমস্যা দূর হয়।
আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা [ক্লিক করে] আখরোট খাওয়ার নিয়ম এবং দাম কত দেখুন
রসুনে সালফারযুক্ত মিশ্রণের উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে। থিওসোলফিনেটস, যার মধ্যে অ্যালিসিন রয়েছে, রসুনের প্রধান সক্রিয় উপাদান। এতে আরও রয়েছে: